ফুলপুর থানার বর্তমান ওসি জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন মহোদয়ের প্রত্যাহারের জন্যে মাননীয় আই,জি,পি মহোদয় বরাবর এম,এইচ,ইউসুফের আবেদন৷
আবেদনপত্রটি হুবহু উল্লেখ করা হলো
” বরাবর
আই জি পি মহোদয়
পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স,
ঢাকা, বাংলাদেশ।
বিষয়ঃ ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর প্রত্যাহার।
বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমি এম. এইচ. ইউসুফ (৪০), পিতা- মোঃ আবু আইয়ুব, সাং- আমুয়াকান্দা থানা ফুলপুর, জেলা- ময়মনসিংহ। ও সি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফুলপুর, ময়মনসিংহ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি আমার ১ম স্ত্রী আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনী (২৮) এর উচ্ছৃংখল জীবন যাপনের জন্য পারিবারিকভাবে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে গত ১৬/০৭/২০১৮ ইং তারিখে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ৯,০০,০০০/- (নয় লক্ষ টাকা) নগদ পরিশোধ করিয়া খোলা তালাকের মাধ্যমে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করি। স্থানীয় কমিশনার ও এলকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এবং উভয় পরিবারের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয় যে, আমাদের একমাত্র সন্তান তাহমিদ তার মার কাছে থাকবে, সন্তানের ভরন পোষন বাবদ বাবা হিসাবে প্রতি মাসে ৫,০০০/- টাকা করিয়া বিকাশের মাধ্যমে (যার নাম্বার ০১৯৯১২৯৪৯৬৪ তে) পরিশোধ করি। পিতা হিসাবে প্রতি মাসে সন্তানকে ১/২ বার করে দেখা করতে পারবো সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক। আমি উক্ত সিদ্ধান্ত মানিয়া নিয়া সন্তানের ভরন পোষনের ৫,০০০/- টাকা প্রতি মাসে বিকাশের মাধ্যমে দিয়া আসিতেছি। ১ম স্ত্রী তালাকের দীর্ঘদিন পরে তানজিদা সুলতানা ওরফে রূপা, পিতা- মৃত ইলিয়াস মিয়া, সাং- রিং রোড, গুলশান থানা- বাড্ডা, জেলা- ঢাকাকে রেজিঃ কাবিন মূলে ২য় বিবাহ করিয়া স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সুখে শান্তিতে বসবাস করিয়া আসিতেছি। আমার ১ম স্ত্রী আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনীকে তালাক দিবার পর সেও ২য় বিবাহ করে এবং তার উচ্ছৃংখল ও অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে তাহার ২য় স্বামীর সাথে তালাক হয়। বেশ কিছুদিন যাবত আমাদের সুখের সংসার সহ্য করিতে না পারিয়া উক্ত আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনী আমাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করিয়া আমাদের সন্তান তাহমিদ এর অজুহাতে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা পয়সা দাবী করিতে থাকে। গত ০৪/০৫/২০২২ ইং তারিখে বেলা অনুমান ১২ ঘটিকার দিকে উক্ত আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনী অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন লোকসহ আমার ফুলপুর থানার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করিয়া বিভিন্ন রকম কথা বার্তা বলিতে থাকে। আমাকে ও আমার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা ওরফে রুপাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করিতে থাকে। এক পর্যায়ে সে অর্থের লোভে বেপরোয়া আচার আচরন করিয়া আসার স্ত্রী তানজিদা সুলতানা রূপাকে মারপিঠ করিতে থাকে। তখন আমি নিরুপায় হইয়া আমার স্ত্রীর জীবন বাঁচানোর জন্য ৯৯৯ এ মোবাইল করিয়া বিষয়টি অবগত করিয়া আইনের সাহায্য চাই। আমার মোবাইল পাওয়ার পর ফুলপুর থানার এস আই মোঃ কবির ফোর্স সহ সাথে সাথে দ্রুত আমার বাসায় আসেন এবং আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনী উচ্ছৃংখল ও অকথ্য ভাষায় আমাকে ও আমার ২য় স্ত্রীকে গালিগালাজ করিতে দেখিয়া উক্ত এস আই কবির আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনীকে আমার বাসা থেকে বাহির করার জন্য অনেক চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইলে অবশেষে এলাকার লোকজন আমার বাসায় আসিতে থাকিলে তাহারা আমার বাসা হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে ঐ দিনই অর্থাৎ ০৪/০৫/২০২২ ইং তারিখ রাত অনুমান ৯ ঘটিকার দিকে উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনীকে আসামী করিয়া এবং আমার স্ত্রী তানজিদা সুলতানা রুপা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করিলে ও/সি (তদন্ত) এস আই বকুল সাহ কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পরামর্শ দেন। এবং আমাকে উক্ত বিষয়ে একটি সাধারন ডাইরী করার জন্য ওসি তদন্ত বলেন। আমি ও সি তদন্ত সাহেবের কথায় থানার কম্পিউটারে সাধারন ডাইরী লিখার পর আমার স্বাক্ষর করা জিডি ওসি তদন্ত ও/সি সাহেব এর নিকট ডাইরীভুক্ত করিতে উপস্থাপন করিলে ও/সি সাহেব বিভিন্ন রকম তালবাহানা শুরু করে। এ সি আমাকে বলে সাধারন ডাইরী করতে হলে ২০,০০০/- টাকা লাগবে। সাধারন ভাইরী করতে ২০,০০০/- টাকা কেন লাগবে বলিলে সে আমার কথাটি ভালোভাবে না নিয়ে আমার উপর রাগান্বিত হয়। আমার সাধারন ডাইরী করার বিষয়টি নিয়ে থানায় অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথেও আলোচনা করার চেষ্টা করি থানায় অন্যান্য কর্মকর্তাগন আমার বিষয়টি যথেষ্ট সহানুভূতির চোখে দেখেন এবং আমাকে সাহায্যের চেষ্টা করেন। কিন্তু ও সি সাহেবকে টাকা না দেওয়ায় আমাকে আইনী সহায়তা না দিয়া ও/সি আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। প্রকাশ থাকে যে, আমি ফুলপুর পৌরসভার দুই বারের মেয়র প্রার্থী ও আফরিনা রহমান ওরফে শ্রাবনীর নানা এক বারের মেয়র হওয়ায় থানা পুলিশের সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর জন্য পাঁয়তারা করিতেছে। প্রকাশ থাকে যে, এসি আব্দুল্লাহ আল মামুন চরিত্রহীন ব্যক্তি, নারী লিপ্সু, ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া সে খড়যন্ত্রনামুলক ভাবে নারী-শিশু নির্যাতন আইনে আমাকে আসামী করে।
অতএব উক্ত মামলাটি সঠিক ভাবে তদন্ত করিয়া আমাকে এই মামলা থেকে অব্যহতি এবং খসি সাহেবকে উক্ত থানা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য আপনার সু-মর্জি কামনা করি।
বিনীত নিবেদক
এম.এইচ ইউসুফ (এম. এইচ. ইউসুফ) 48722 পিতা- মোঃ আবু আইয়ুব সাং- আমুয়াকান্দা, থানা-ফুলপুর, জেলা- ময়মনসিংহ।
মামলার সংযুক্ত কপি একটি।
- বিস্তারিত আসছে …